স্ট্রোক নিয়ে কিছু কথাঃ
স্ট্রোক হলে অধিকাংশ সময়েই এর প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষনিকভাবে বোঝা যায় না। কেননা অনেকের ক্ষেত্রেই স্ট্রোক হবার অনেক পরে ( ৬ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টা বা একদিন বা দু’দিন পরে) বোঝা যায় সে স্ট্রোক করেছে।। (যে সকল স্ট্রোকের রোগী পেয়েছি তাদের থেকেই ধারনাটি আমি করেছি)
অনেক সময়ে হাত পা অবশ হয়ে যাওয়া, চোখ স্থীর থাকা বা এরকম কিছু উপসর্গ দেখা যায় প্রাথমিকভাবে। এ নিয়ে অনেক লেখা আছে আপনারা একটু নেটে ঘাটাঘাটি করলেই পাবেন।
#স্ট্রোক এর চিকিৎসা নিয়ে কথা বলা মুলত এর উদ্দেশ্য।
#স্ট্রোক হলে আমরা কি ধরনের চিকিৎসা নেব?
অনেক ডাক্তার এর সাথেই কথা বলেছি এ নিয়ে তাদের পরামর্শ হচ্ছে
স্ট্রোক করলে প্রথমেই তাকে মেডিকেলের ইমার্জেন্সীতে নিয়ে যাওয়া। কেননা সাথে সাথে রোগীকে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারলে রোগী আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা থাকে বেশি। স্ট্রোক হলে সাধারনত রোগীর কমন একটি সমস্যা হচ্ছে প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া।
তাই স্ট্রোকের রোগীকে দু’জন আলাদা আলাদা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হয়।
প্রথমত #নিউরোমেডিসিনের ডাক্তার দ্বিতীয়ত #ফিজিক্যাল_মেডিসিনের ডাক্তার।
আমরা গ্রুপে স্ট্রোক রোগীদের সম্পর্কে অনেক পোষ্ট পাই যেখানে অধিকাংশ ব্যক্তিই হয় নিউরোমেডিসিনের ডাক্তার সাজেষ্ট করেন না হয় ফিজিক্যাল মেডিসিনের ডাক্তার সাজেষ্ট করেন।
স্ট্রোক করলে প্রথমে তাকে নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞই দেখাতে হবে এরপরে যদি রোগীর প্যারালাইজড সংক্রান্ত কোন অসুবিধা ধরা পড়ে তাহলে তাকে ফিজিক্যাল মেডিসিনের ডাক্তার দেখাতে হবে। আর এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিউরোমেডিসিনের ডাক্তার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাজেষ্ট করে দেন।
উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহনে স্ট্রোকের রোগীকে স্বাভাবীক অবস্থায় নিয়ে আসা যায়।।
উপরোক্ত লেখাটি বেশ কয়েকজন নিউরোমেডিসিন ও ফিজিক্যাল মেডিসিনের ডাক্তারের সাথে আলোচনা করেই করা।
স্ট্রোকের লক্ষন দেখা দিলে কাল বিলম্ব না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন। সুস্থ্য ও নিরাপদ থাকুন।।